যদি এমন কোন পদ্ধতি থাকতো যাতে আপনি মার্কেটের টপে সেল আর বটমে বাই করতে পারতেন, তাহলে কেমন হত? আচ্ছা এমন হলে কেমন হত যে, আপনি একটা লং/বাই পজিশনে আছেন আর চার্টে দেখতে পারছেন যে এখন ট্রেড ক্লোজ করার সময় হয়েছে? আসলে এরকম একটা উপায় আছে আর তার নাম ডাইভারজেন্স ট্রেডিং।
ডাইভারজেন্স কি?
ডাইভারজেন্স ট্রেডিং হলো এমন একটি কৌশল যা technical analysis ব্যবহার করে বাজারের ট্রেন্ড পরিবর্তনের সংকেত শনাক্ত করে। এটি ট্রেডারদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, যা মূল্যের উত্থান-পতনের গতিবিধি বুঝতে সাহায্য করে।
ডাইভারজেন্স তখন ঘটে যখন মূল্যের চলমান প্রবণতা এবং একটি ইনডিকেটর বা সূচক (যেমন RSI, MACD) বিপরীতমুখী আচরণ প্রদর্শন করে। এটি বাজারে সম্ভাব্য বিপরীত ট্রেন্ডের সংকেত দিতে পারে।
ডাইভারজেন্স দুই ধরনের হয়:
- বুলিশ ডাইভারজেন্স (Bullish Divergence): যখন মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা থাকে, কিন্তু ইনডিকেটর উর্ধ্বমুখী। এটি মূল্যের বৃদ্ধি সম্ভাবনা নির্দেশ করে
- বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স (Bearish Divergence): যখন মূল্যের উর্ধ্বগামী প্রবণতা থাকে, কিন্তু ইনডিকেটর নিম্নমুখী। এটি মূল্যের পতন সম্ভাবনা নির্দেশ করে
কাজ করার প্রক্রিয়া
ডাইভারজেন্স শনাক্ত করার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয়:
- ইনডিকেটর বাছাই করুন: RSI, MACD বা অন্যান্য ইনডিকেটর ব্যবহার করুন
- মূল্যের এবং ইনডিকেটরের ধারা তুলনা করুন: মূল্য ও ইনডিকেটরের অবস্থানের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে কিনা যাচাই করুন
- সিদ্ধান্ত নিন: ডাইভারজেন্সের ধরন বুঝে কেনা বা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিন

উদাহরণ
ধরুন কোনো স্টকের মূল্য ক্রমশ কমছে, কিন্তু RSI ইনডিকেটর ক্রমশ বাড়ছে। এটি একটি বুলিশ ডাইভারজেন্স এবং স্টকের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে।
সতর্কতা
ডাইভারজেন্স ট্রেডিং শুধু একটি কৌশল; এর মাধ্যমে ১০০% সফলতা নিশ্চিত হয় না। তাই অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ এবং মার্কেটের খবরও বিবেচনায় রাখা উচিত।