ফেইক ব্রেকআউট প্যাটার্ন বলতে এমন একটি পরিস্থিতি বোঝায় যেখানে প্রাইস একটি নির্দিষ্ট লেভেল (যেমন সাপোর্ট বা রেসিস্ট্যান্স) ভেঙে বাইরে চলে যায়, কিন্তু কিছু সময় পর আবার সেই লেভেলের মধ্যে ফিরে আসে। এটি প্রায়ই ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করার জন্য ঘটে এবং এটিকে “ফেইলড ব্রেকআউট” বা “ফলস ব্রেকআউট”ও বলা হয়।
যেমন উদাহরণ দিই:
- আপনি একটি রেসিস্ট্যান্স লেভেল দেখছেন যেখানে দাম বারবার আটকে যাচ্ছে।
- একটি বড় ক্যান্ডেল ঐ রেসিস্ট্যান্স লেভেলটি ভেঙে উপরে চলে যায়।
- অনেক ট্রেডার মনে করে এটি একটি “ব্রেকআউট” এবং বাই এন্ট্রি নেয়।
- কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দাম আবার রেসিস্ট্যান্স লেভেলের নিচে নেমে যায়।

এটি সাধারণত বড় ইনস্টিটিউশন বা স্মার্ট মানি মুভারদের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যারা মার্কেটে ট্রেডারদের ভুল পথে পরিচালিত করতে চায়। তাই এই ধরণের প্যাটার্ন বোঝা এবং সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেইক ব্রেকআউট প্যাটার্ন বোঝার জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ লক্ষণ এবং প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
১. ভলিউম পর্যবেক্ষণ করুন
- সঠিক ব্রেকআউট সাধারণত উচ্চ ভলিউম নিয়ে আসে। যদি ব্রেকআউটের সময় ভলিউম কম থাকে, তবে এটি ফেইক ব্রেকআউট হতে পারে।
২. মাল্টিপল টাইমফ্রেম অ্যানালাইসিস করুন
- বড় টাইমফ্রেমে (যেমন ডেইলি বা উইকলি) প্রাইসের মুভমেন্ট দেখুন। ছোট টাইমফ্রেমে ব্রেকআউট সঠিক না-ও হতে পারে।
৩. ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করুন
- ব্রেকআউটের পরে যদি বড় শ্যাডো বা পিন বার ক্যান্ডেল দেখা যায়, তবে এটি ফেইক ব্রেকআউট হতে পারে। এটি দেখায় যে প্রাইস লেভেলে রিজেকশন হয়েছে।
৪. সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স পুনরায় মূল্যায়ন করুন
- প্রাইস কি সাপোর্ট বা রেসিস্ট্যান্সকে নিশ্চিত করছে? যদি তা না করে তবে এটি ফেইক ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৫. রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করুন
- একটি সঠিক ব্রেকআউট প্রায়ই ব্রেক করা লেভেলে ফিরে এসে রিটেস্ট করে। যদি রিটেস্ট না হয়, তবে ফেইক ব্রেকআউট হতে পারে।
৬. মার্কেট কনটেক্সট বুঝুন
- যদি বাজার খুব বেশি ভোলাটাইল হয় বা নিউজ ইভেন্টের সময় হয়, ফেইক ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৭. স্টপ লস এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন
- সম্ভাব্য ফেইক ব্রেকআউট থেকে রক্ষা পেতে স্টপ লস ব্যবহার করুন এবং ছোট রিস্ক নিয়ে কাজ করুন।