মার্কেট যখন কোন শক্তিশালী মুভমেন্টের পরে বিরতি নেয় তখন ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন তৈরি করে। ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন ২টা সমান্তরাল লাইন দিয়ে গঠিত হয় যেটা সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স হিসেবে কাজ করে।
ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন উদ্ধগামি অথবা নিম্নগামি হয়ে থাকে। যদি মার্কেট আপট্রেন্ডে থাকে তাহলে একটা একটা নিম্নগামি ফ্ল্যাগ লোয়ার লো এবং লোয়ার হাই তৈরি করে যেটা বুলিশ সংকেত দিয়ে থাকে। আর যদি মার্কেট ডাউনট্রেন্ডের পরে উদ্ধগামি ফ্ল্যাগ হাইয়ার লো এবং হাইয়ার হাই তৈরি করে তাহলে সেটা বিয়ারিশ সংকেত দিয়ে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

একটা ফ্ল্যাগ তৈরি হাওয়ার পর মার্কেট যখন সেটা ব্রেক করে মানে প্রাইস ফ্ল্যাগের বাইরে ক্লোজ হয় তখন ফ্ল্যাগ ব্রেক করে। এরপর আশা করা যায় যে, প্রাইস কমপক্ষে পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের ৭০% – ১০০% মুভ করবে।
ফ্ল্যাগ প্যাটার্নের ধরন
ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত:
- বুলিশ ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন: এটির ক্ষেত্রে দামের মস্তুল উর্ধ্বমুখী এবং পতাকা আয়তক্ষেত্রটি পূর্বগামী থাকে।
- বেয়ারিশ ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন: এর ক্ষেত্রে দামের মস্তুল নিম্নমুখী এবং পতাকা আয়তক্ষেত্রটি নিম্নগামী থাকে।

ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন গঠনের প্রক্রিয়া
- স্টিক: একটি তীক্ষ্ণ গতির দামের বৃদ্ধি বা হ্রাস।
- ফ্লাগ বা পতাকা: একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে মার্কেট মুভ কে বিভিন্ন ধরনের পতাকার শেইপ তৈরি করে।
- ব্রেকআউট: পতাকা প্যাটার্নের পর দামের পুনরায় পূর্ববর্তী ট্রেন্ডে চলা শুরু করে।

ফ্ল্যাগ প্যাটার্নের গুরুত্ব
ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন ট্রেডারদেরকে ট্রেন্ড অব্যাহত থাকার সংকেত প্রদান করতে সাহায্য করে। এটি ট্রেডারদের এন্ট্রি নেওয়ার সঠিক সময় নির্ধারণে সাহায্য করে এবং বাজারের গতি পর্যবেক্ষণে সহায়ক।
ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন অর্থনীতি এবং ফাইনান্স জগতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা, যা ট্রেডারদের মার্কেট প্রাইস ট্রেন্ড বুঝতে এবং লাভজনক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
