ফিউচার এবং অপশন ট্রেডিং হল দুটি ধরনের ডেরিভেটিভ ট্রেডিং যেখানে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। এদের কিছু মূল পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
ফিউচার ট্রেডিং
ফিউচার ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, ব্যবসায়ীরা একটি নির্দিষ্ট ভবিষ্যতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বাধ্যতামূলক চুক্তি করেন।
অপশন ট্রেডিং
অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, ব্যবসায়ীরা একটি নির্দিষ্ট ভবিষ্যতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করার অধিকার কিনে, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।
প্রধান পার্থক্য:
- বাধ্যবাধকতা: ফিউচার চুক্তিতে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই চুক্তি পূরণ করতে বাধ্য। অপশন চুক্তিতে, ক্রেতার শুধুমাত্র সম্পদ কিনতে বা বিক্রি করার অধিকার রয়েছে, বাধ্যবাধকতা নয়।
- বিনিয়োগ ঝুঁকি: ফিউচার ট্রেডিং উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন, কারণ চুক্তি পূরণ করতে বাধ্য হওয়ার কারণে লোকসান সম্ভব। অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রিত কারণ বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র প্রিমিয়াম হারায় যদি তারা চুক্তি পূরণ না করে।
- বাজার: উভয় চুক্তি ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট যেমন স্টক, কমোডিটি, মুদ্রা ইত্যাদি ভিত্তিক হতে পারে।
উদাহরণ:
ধরা যাক, আপনি তেল কিনতে চান।
- ফিউচার ট্রেডিং: আপনি একটি ফিউচার চুক্তি করেন যা তিন মাস পরে ১০০ ব্যারেল তেল প্রতি ব্যারেল $৫০ ডলারে কিনতে।
- অপশন ট্রেডিং: আপনি একটি কল অপশন কিনেন, যা আপনাকে তিন মাস পরে প্রতি ব্যারেল $৫০ ডলারে ১০০ ব্যারেল তেল কিনতে অধিকার দেয়, কিন্তু বাধ্যবাধকতা নেই।
ফিউচার এবং অপশন ট্রেডিং অনুমানের উপর ভিত্তি করে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট মূল্যে ভবিষ্যতের তারিখে ব্যবসা করেন। তাই বাজারের অনুমানের উপর নির্ভর করে যাঁরা কোনও স্টকে বাজি ধরতে চান তাঁরা এই ব্যবসায়ীদের পছন্দ করেন।
পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন