Wednesday, February 12, 2025
3.6 C
London

মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ

আর্টিকেল এর বিষয়সমুহ

  1. ট্রেন্ড নির্ধারণ
  2. ট্রেন্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া
  3. ট্রেন্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া: এন্ট্রি গ্রহন
  4. ট্রেন্ড ট্রেডিং এর কিছু নির্দেশিকা

মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা বেশীরভাগ সময়ই প্রাইসের মুভমেন্ট নির্দিষ্ট ট্রেন্ডের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। আপনি যদি এন্ট্রি পজিশন গ্রহন করার পূর্বে, এই ট্রেন্ড সনাক্ত করতে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেন কি ধরনের এন্ট্রি (Buy/Sell) আপনাকে গ্রহন করতে হবে।

তবে সমস্যা হচ্ছে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেডাররা এই মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ করতে ভুল করে বসেন। ফলাফল হিসাবে ভুল এন্ট্রি নিয়ে বসেন যা মুলত পরবর্তীতে লসের কারণ হয়ে দাড়ায়। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ করার কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

ট্রেন্ড নির্ধারণ

আমরা সকলেই জানি, মার্কেট ট্রেন্ড হচ্ছে মুলত ৩ ধরনের।

  1. আপট্রেন্ড
  2. ডাউনট্রেন্ড এবং,
  3. রেঞ্জ কিংবা নিউট্রাল ট্রেন্ড

এই তিন ধরনের ট্রেন্ডের মধ্যেই মুলত প্রাইস ঘুরপাক খেতে থাকে। ট্রেডার হিসাবে আমাদের এন্ট্রি পজিশন গ্রহন করা পূর্বে, অবশ্যই এই ৩ ধরনের ট্রেন্ড চিহ্নিত করে নিতে হবে। মুল অংশে যাবার পূর্বে চলনু, এই ৩ ধরনের ট্রেন্ড সম্পর্কে কিছুটা তথ্য জেনে নেই।

আপট্রেন্ড: এটি প্রাইসের এমন একটি অবস্থান কে বোঝায়, যখন প্রাইস ক্রমশ নিচের থেকে উপরের দিকে মুভ করতে থাকে। সহজ বাংলায় যদি বলা হয়, তাহলে এই ধরনের ট্রেন্ডের ক্ষেত্রে প্রাইস নিচের দিকে নেমে আসবে কম, কিন্তু উপরের দিকে মুভ করবে বেশী। চার্টে এই ধরনের ট্রেন্ড দেখতে অনেকটা নিচের চিত্রের মতন হবে।

আপট্রেন্ড মার্কেটের একটি চার্ট

উপরের এই চার্টটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, প্রাইস ক্রমশ উপরের দিকে মুভ করে চলেছে। অর্থাৎ, এটি হচ্ছে একটি পারফেক্ট আপট্রেন্ডের উধাহরন।

ডাউনট্রেন্ড: এটি হচ্ছে, আপট্রেন্ডের ঠিক বিপরীত। অর্থাৎ, এই ধরনের ট্রেন্ডের ক্ষেত্রে, প্রাইস ক্রমশ উপর থেকে নিচের দিকে নেমে আসতে থাকবে। সহজ বাংলায় যদি বলা হয়, তাহলে এই ধরনের ট্রেন্ডের ক্ষেত্রে প্রাইস উপরের দিকে উঠে আসবে কম, কিন্তু নিচের দিকে মুভ করবে বেশী। চার্টে এই ধরনের ট্রেন্ড দেখতে অনেকটা নিচের চিত্রের মতন হবে।

ডাউনট্রেন্ড মার্কেটের একটি চার্ট

উপরের এই চার্টটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, প্রাইস ক্রমশ নিচের দিকে মুভ করে চলেছে। অর্থাৎ, এটি হচ্ছে একটি পারফেক্ট ডাউনট্রেন্ডের উধাহরন।

রেঞ্জ কিংবা নিউট্রাল ট্রেন্ড: যখন প্রাইসের নির্দিষ্ট কোনও ট্রেন্ড থাকে না, তখন সেটি একটি জোন কিংবা প্রাইস লেভেলের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। তখনই এই ধরনের রেঞ্জ কিংবা নিউট্রাল ট্রেন্ড এর তৈরি হয়। এই ধরনের ট্রেন্ড এর ক্ষেত্রে প্রাইস, বড় আকারে উপর কিংবা নিচেr দিকে মুভ করতে পারেনা। চার্টে এই ধরনের ট্রেন্ড দেখতে অনেকটা নিচের চিত্রের মতন হবে।

রেঞ্জ ট্রেডিং কিংবা নিউট্রাল ট্রেন্ড এর চার্ট

উপরের এই চার্টটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, এই অংশে প্রাইস একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই ঘুর-পাক খাচ্ছে। অর্থাৎ, প্রাইস উপরের উপরের দিকেও মুভ করতে পারছে না এবং নিচের দিকেও নেমে আসতে পারছে না। ট্রেডিং এর ভাষায় এটিকে বলা হয় নিউট্রাল ট্রেন্ড কিংবা রেঞ্জিং মার্কেট।

যেকোনো ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রেই মুলত এভাবে ট্রেন্ড নির্ধারিত হয়ে থাকে। আপনি যেই ধরনের ট্রেডিংই করেন না কেন, যেমন স্টক ট্রেডিং, স্পট কারেন্সি ট্রেডিং, ক্রিপ্টো ট্রেডিং। ট্রেন্ড বোঝার প্রক্রিয়া, একই ধরনের হবে।

ট্রেন্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া

এতক্ষন পর্যন্ত, ট্রেন্ড সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারনা আমরা প্রদান করেছি। এবার আমরা, কিভাবে ট্রেন্ড খুঁজে পাবেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। ট্রেডারভেধে বিভিন্ন মাধ্যমে এই ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যায়। তবে আজকের আমরা সবথেকে সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যমটি জানার চেষ্টা করবো।

আপনি চাইলে এই টিউটোরিয়ালটি জানার মাধ্যমেও ট্রেন্ড নির্ধারণ করার কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। যদি টিউটোরিয়ালটি চালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিবেন।

ধরুন আপনি যেকোনো একটি ট্রেডিং এসেটে এন্ট্রি গ্রহন করার জন্য চার্ট এনালাইসিস করছেন। আপনার কাজ হচ্ছে, এন্ট্রি গ্রহন করার পূর্বে, প্রাইসের মুভমেন্ট সম্পর্কে ভালো করে বোঝার চেষ্টা করা যাতে, কোনদিকে এন্ট্রি গ্রহন করতে হবে (Buy/Sell) সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে সুবিধা হয়।

চার্ট এনালাইসিস করার সময়, নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

  1. আপনি যেই ট্রাইমফ্রেমে ট্রেড করতে পছন্দ করেন, সেই টাইমফ্রেমে প্রাইস কি ধরনের মুভমেন্ট প্রদান করছে?
  2. এই টাইমফ্রেমে কি, প্রাইসের সাপোর্ট কিংবা রেসিসটেন্স লেভেল রয়েছে?
  3. ক্যান্ডেল, কি ধরনের ফরমেশন তৈরি করছে?
  4. নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে প্রাইস অবস্থান করার পূর্বে, কোন পজিশন থেকে প্রাইস এসেছে?

উপরের এই ৪টি প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার চলুন একটি চার্ট এনালাইসিস করার মাধ্যমে আমরা এই ৪টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। যদি এই উত্তরগুলো আপনি খুঁজে পান, তাহলে নিজেই মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।

GBP/USD চার্ট

এটি GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের একটি চার্ট। এই চার্টটি এখন এন্ট্রি গ্রহন করার জন্য আমরা বিশ্লেষণ করে উপরের উল্লেখিত ৪টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।

প্রশ্ন নং #১ – আপনি যেই ট্রাইমফ্রেমে ট্রেড করতে পছন্দ করেন, সেই টাইমফ্রেমে প্রাইস কি ধরনের মুভমেন্ট প্রদান করছে?

উপরের এই চার্টটি H4 টাইমফ্রেমের। এই টাইমফ্রেমটিকে আমরা এনালাইসিস করার জন্য নির্বাচন করেছি। চার্টটি দেখে বুঝতে পারছি প্রাইস এখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে। অর্থাৎ, এন্ট্রি গ্রহন করার পূর্বে, আমরা প্রাইসের সম্ভাব্য রেঞ্জ সম্পর্কে অবগত হয়ে নিলাম।

প্রশ্ন নং #২ – এই টাইমফ্রেমে কি, প্রাইসের সাপোর্ট কিংবা রেসিসটেন্স লেভেল রয়েছে?
H4 টাইমফ্রেমে, সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সনাক্তকরণ

H4 টাইমফ্রেমের এই অংশে দেখুন, প্রাইস অসংখ্যবার একটি নির্দিষ্ট প্রাইস লেভেলকে স্পর্শ করার মাধ্যমে অবস্থান করছে। অর্থাৎ, আমরা এখানে প্রাইসের শক্তিশালী সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেলের অবস্থানকে দুইটি লাইনের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি।

প্রশ্ন নং #৩ – ক্যান্ডেল, কি ধরনের ফরমেশন তৈরি করছে?

ক্যান্ডেল ফরমেশন বলতে আমরা মুলত বোঝানর চেষ্টা করেছি, হাইয়ার হাই এবং লোয়ার লো ফরমেশন তৈরি করাকে। মনে রাখবেন,

প্রাইস যদি আপট্রেন্ডে অবস্থান করতে থাকে, তাহলে ক্যান্ডেল ক্রমশ হাইয়ার হাই লেভেল তৈরি করতে থাকবে। অন্যদিকে, ডাউনট্রেন্ডের সময় তৈরি করবে, লোয়ার লো ফরমেশন।

ক্যান্ডেল ফরমেশ = হাইয়ার হাই/ লোয়ার লো সনাক্তকরণ

চার্টের এই অংশে দেখুন ক্যান্ডেল, হাইয়ার হাই কিংবা লোয়ার লো ফরমেশনের কোনওটিই তৈরি করতে পারছে না। ফলাফল হিসাবে প্রাইস, সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেলের মধ্যে ক্রমশ ঘুরপাক খাচ্ছে। যেহেতু প্রাইস একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে তাই, এই মুহূর্তে আপট্রেন্ড কিংবা ডাউনট্রেন্ড হিসাবে চিন্তা করা যাবেনা।

প্রশ্ন নং #৪ – নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে প্রাইস অবস্থান করার পূর্বে, কোন পজিশন থেকে প্রাইস এসেছে?

পূর্বের মুভমেন্ট সনাক্তকরণ

চার্টটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করুন, আমরা কিছুক্ষন আগে প্রাইসের সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স চিহ্নিত করার পূর্বে, প্রাইস আসলে কোন স্থান থেকে মুভ করে এসেছে সেটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। চার্টে প্রদর্শিত হাইয়ার হাই এবং হাইয়ার লো জোনগুলোর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রাইস, সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স জোন তৈরি করার পূর্বে, হাইয়ার হাই এবং হাইয়ার লো ফরমেশন তৈরি করার মাধ্যমে নিচ থেকে উপরের দিকে মুভ করে উঠে আসে যা আমাদের আপট্রেন্ডের নির্দেশনা প্রদান করছে। অর্থাৎ, পূর্বে প্রাইস শক্তিশালী আপট্রেন্ড প্রদান করেছে এবং এরপর নতুন করে একটি রেঞ্জ তৈরি করার মাধ্যমে এখন সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেলের মধ্যে অবস্থান করছে।

আমরা উপরের উল্লেখিত ৪টি প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে পেয়েছি। এখন এন্ট্রি পজিশন কনফার্ম করার জন্য আমাদের কিছুটা কৌশলী চিন্তা করতে হবে। চলুন এবার পুনরায় চার্টটি বিশ্লেষণ করে নেয়া যাক।

এন্ট্রি পজিশনের জন্য চার্ট বিশ্লেষণ

ট্রেন্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া: এন্ট্রি গ্রহন

To top

এতক্ষনে আমরা খুঁজে পেয়েছি, H4 টাইমফ্রেমের চার্টে প্রাইস শক্তিশালী আপট্রেন্ডে অবস্থান করে উপরের দিকে মুভ করে উঠে আসে এবং এরপর একটি সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স জোন তৈরি করার মাধ্যমে, বর্তমানে একটি রেঞ্জ তৈরি করে অবস্থান করছে।

যেহেতু প্রাইসের পূর্বের আপট্রেন্ড এখনও চলমান রয়েছে, তাই আমরা ট্রেন্ডের বিপরীতে কোনও এন্ট্রি গ্রহন করবো না। অর্থাৎ, আমরা নতুন করে আপট্রেন্ডে Buy এন্ট্রি গ্রহন করার চিন্তা করছি। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন। প্রাইস এখন আর কিন্তু নতুন করে কোনও হাইয়ার হাই এবং হাইইয়ার লো ফরমেশন তৈরি করছে না। কেননা আমরা জানি,

আপট্রেন্ডের সূত্র হচ্ছে = ক্যান্ডেলের হাইয়ার হাই + হাইয়ার লো ফরমেশন

এই কারনে, প্রাইস যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান এই রেঞ্জের রেসিসটেন্স লেভেলকে ব্রেক করে নতুন করে হাইয়ার হাই ফরমেশন তৈরি না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন করে Buy এন্ট্রি পজিশন গ্রহন করতে পারবো না।

রেঞ্জ ব্রেকআউট এর জন্য অপেক্ষা

আশা করছি, চার্টটি থেকে বুঝতে পেরেছেন, আমরা কোন অংশে প্রাইসের ব্রেকআউট হবার কথা বলছি। যদি প্রাইস এই রেসিসটেন্স লেভেলটিকে উপরের দিকে ব্রেকআউট করতে সক্ষম হয়, তাহলেই ধরে নিতে হবে, প্রাইসের পূর্বের আপট্রেন্ড আরও শক্তিশালী হয়ে সক্রিয় থাকবে।

প্রশ্ন, এখন যদি প্রাইস বিদ্যমান এই রেঞ্জটির সাপোর্ট লেভেলটিকে ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে আসে, তাহলে কি হবে?

যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে এবার আমাদের বুঝতে হবে, প্রাইসের আপট্রেন্ডের শক্তি শেষ হয়ে এসেছে। এখন সময় হয়েছে ডাউনট্রেন্ডকে জায়গা প্রদানের। অর্থাৎ, পূর্বে যাদের Buy এন্ট্রি ছিল, সেই এন্ট্রিগুলোকে এবার ক্লোজ করে ফেলার সময় এসেছে এবং একই সাথে নতুন ট্রেন্ড হিসাবে Sell পজিশন গ্রহন করা যেতে পারে।

ট্রেন্ড ট্রেডিং এর কিছু নির্দেশিকা

ট্রেন্ড ট্রেডিং করা জটিল এবং কষ্টের কিছু নয়। আপনি চাইলে সেটি করতে পারবেন। তবে সমস্যা হচ্ছে, মার্কেট ট্রেন্ডের সাথে মিলিয়ে পজিশন ধরে রাখাটা খুবই ধৈর্যের। নিচের বিষয়গুলো যদি মেনে চলেন, তাহলে ধীরে ধীরে নিজেকে ট্রেন্ড ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলতে পারবেন।

  • ট্রেন্ড ট্রেডিং এর জন্য সর্বদাই, কিছুটা বড় টাইমফ্রেম নির্বাচন করে নিবেন। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, ন্যুনতম H4 টাইমফ্রেম কে Base হিসাবে গন্য করে, চার্ট এনালাইসিস করার চেষ্টা করবেন।
  • ট্রেন্ড ট্রেডিং সবথেকে প্রফিটেবল হবে, যদি আপনি সেটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য চিন্তা করেন। কেননা প্রাইস নতুন ট্রেন্ড তৈরি করতে যেমন সময় নেয়, ঠিক একই রকম করে দীর্ঘ সময় ধরে এই ট্রেন্ডে অবস্থান করে।
  • ট্রেন্ড নির্ধারণ করার জন্য একটি সূত্র সর্বদাই মনে রাখবেন, আপট্রেন্ড = হাইয়ার হাই + হাইয়ার লো এবং ডাউনট্রেন্ড = লোয়ার হাই + লোয়ার লো ফরমেশন তৈরির মাধ্যমে ক্যান্ডেল মুভ করতে থাকবে।
  • যখন দেখবেন প্রাইস পূর্বে শক্তিশালী ট্রেন্ড প্রদান করার পর, নতুন করে সেদিকে ক্যান্ডেল ফরমেশন তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে না, তখন সেই ট্রেন্ডের দিকে নতুন করে এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকবেন। যখন ক্যান্ডেল ফরমেশন, ট্রেন্ডের দিকে তৈরি হওয়া শুরু করবে, তখন আবার এন্ট্রি গ্রহন করতে পারবেন।
  • একবার ট্রেন্ডের দিকে এন্ট্রি গ্রহন করার পর, আপনার গৃহীত এন্ট্রি ততক্ষণ পর্যন্ত একটিভ রাখবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাইস সেই ট্রেন্ড পরিবর্তন না করবে। যেমন, আপনি আপট্রেন্ডের মার্কেটে Buy পজিশন গ্রহন করলেন। আপনার এই Buy এন্ট্রি ততক্ষণ পর্যন্ত রেখে দিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাইস নতুন করে ডাউনট্রেন্ড তৈরি না করবে।
  • মনে রাখবেন, ট্রেন্ডে একাধিক এন্ট্রি গ্রহন করে ১০ ডলার প্রফিট করার থেকে, একটি এন্ট্রি থেকে ১০০ ডলার প্রফিট করা খুবই কার্যকরী। কেননা, এতে লসের পরিমাণ কম থাকে, মার্কেট মুভ করার জন্য যথেষ্ট জায়গা পায়, আপনি এনালাইসিস করার মাধ্যমে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহন করার ক্ষেত্রেও প্রচুর সময় পাবেন। যা রিস্ক এবং মানি ম্যানেজমেন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে।

কোনও কিছুই শর্টকাটে ভালো হয়না। ট্রেডারও আপনি রাতারাতি হতে পারবেন না। ট্রেন্ড ট্রেডিং করার ক্ষেত্রেও আপনার নিজেকে, ট্রেন্ডের সাথে মিলিয়ে অবস্থান করার জন্য অভ্যস্ত হতে হবে। কেন, এই ট্রেন্ড আপনাকে সবথেকে বেশী পরিমাণ প্রফিটের সাথে মার্কেট এনালাইসিস করার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করবে যা ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে আশা করি।

Hot this week

এমএসিডি বা ম্যাকডি (MACD) ইনডিকেটর

এমএসিডি (MACD), বা মুভিং অ্যাভারেজ কনভার্জেন্স ডাইভার্জেন্স, হল একটি...

প্যারাবলিক এসএআর (Parabolic SAR)

"Parabolic" শব্দটি মূলত একটি গাণিতিক শব্দ যা প্যারাবোলা (Parabola)...

অ্যাডাপ্টিভ মুভিং অ্যাভারেজ (AMA)

যারা মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেড করেন তাদের জন্য...

ইন্ডিকেটর কি?

ফরেক্স ইন্ডিকেটর হল বিভিন্ন গণনাভিত্তিক উপকরণ যা ট্রেডারদের বাজারের...

পিন বার ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন

পিন বার ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন (Pin Bar Candlestick Pattern) ফরেক্স...

Topics

এমএসিডি বা ম্যাকডি (MACD) ইনডিকেটর

এমএসিডি (MACD), বা মুভিং অ্যাভারেজ কনভার্জেন্স ডাইভার্জেন্স, হল একটি...

প্যারাবলিক এসএআর (Parabolic SAR)

"Parabolic" শব্দটি মূলত একটি গাণিতিক শব্দ যা প্যারাবোলা (Parabola)...

অ্যাডাপ্টিভ মুভিং অ্যাভারেজ (AMA)

যারা মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেড করেন তাদের জন্য...

ইন্ডিকেটর কি?

ফরেক্স ইন্ডিকেটর হল বিভিন্ন গণনাভিত্তিক উপকরণ যা ট্রেডারদের বাজারের...

পিন বার ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন

পিন বার ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন (Pin Bar Candlestick Pattern) ফরেক্স...

থ্রী স্টারস ইন দা নর্থ ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন

থ্রী স্টারস ইন দা নর্থ ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্ন হলো একটি...

থ্রী স্টার ইন দা সাউথ

থ্রী স্টারস ইন দা সাউথ: ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্নগুলি ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ...

ট্রেন্ড ফলোয়িং স্ট্রাটেজি: ফরেক্স ট্রেডিংয়ের একটি কার্যকরী পদ্ধতি

ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জগতে, ট্রেন্ড ফলোয়িং স্ট্রাটেজি একটি জনপ্রিয় এবং...

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Categories

spot_imgspot_img